আজকের পোস্টে আমারা আলোচনা করবো, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ কি কি এবং বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় সমূহ বা পদ্ধতি ও কিভাবে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের ঝুঁকি ও প্রতিকার করা যায় তা অবলম্বন করা এবং রক্ষা করার জন্য সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা। অন্যথায় এটি পরিবেশের জন্য খুবই মারাত্মক প্রভাব পরতে পারে।
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হলেও বিভিন্ন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক কারণে এটি ধ্বংসের মুখে পড়ছে। দেশের বনভূমি উজাড়, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং অবৈধ শিকার ও মৎস্য আহরণের মতো সমস্যা জীববৈচিত্র্যকে ক্রমশ হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনি পদক্ষেপ, এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ করা জরুরি। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ এবং সংরক্ষণের করণীয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ শুধু প্রকাকৃতিক বা বাস্তুতান্ত্রিক কারণ গুলোতে সীমাবদ্ধ না, মানুষের সৃষ্টি কারন ও বিদ্যমান। তাই মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে আমাদের কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়ে তার মধ্যে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ থেকে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় বা পদ্ধতি খুজে বের করা। সামাজিক ভাবে মানুষ বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তার মাধ্যে কিছু ভালো দিক আবার কিছু এমন দিক আছে যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি কারক হতে পারে। তাই আমাদের উচিত সকল দিক এমন ভাবে তৈরি করা যার মাধ্যমে সামাজিক, প্রাকৃতিক সম্পদ ও বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় বা পদ্ধতি কিভাবে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় সে দিকে নজর দেয়া। আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের ঝুঁকি ও প্রতিকার গুলো কীভাবে রক্ষা করা যায় তা আমাদেরকে কারনগুলো খুজে রক্ষা করতে হবে।
জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?
জীব বৈচিত্র শব্দটি ইংরেজি শব্দ ” Biodiversity ” থেকে এসেছে। যেখানে Boi পার্থ জীব এবং diversity অর্থ হলো বৈচিত্র। অর্থাৎ জিন প্রজাতি ও বাস্তুসংস্থান মিলে জীব বৈচিত্র সৃষ্টি হয়। জীব বৈচিত্র বলতে জীবের উন্নত ও বৈচিত্র কে বোঝানো হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের জীববৈচিত্র্য রয়েছে। বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রাণী বিজ্ঞানী প্রফেসর মোঃ মাহমুদুল আমিন এর মতে, পৃথিবীর সকল জীবের প্রকার ও প্রজাতিসহ জিনতাত্ত্বিক বিভিন্ন তাই হলো জীববৈচিত্র।
সংক্ষেপে বলতে পারি, জীবের শ্রেণীবিন্যাস গোষ্ঠীসমূহের মধ্যে যেমন বংশগতির একক জিন, জনগোষ্ঠী প্রজাতি বা সমষ্টিগত জীব সম্প্রদায় বা বাস্তুতান্ত্রিক সম্প্রদায়ের বিভিন্নতার বা বহুরূপতাকে জীববৈচিত্র বলে।
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ গুলো কি কি?
বাংলাদেশের বিভিন্ন কারণে জীব বৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে। তবে বর্তমানে এই ধ্বংসের হার দূরত্ব তোর হচ্ছে। বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ গুলোকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো :
- বাস্তুতান্ত্রিক কারণ
- মানব সৃষ্ট কারণ
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের বাস্তুতান্ত্রিক কারণ সমূহ
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের বাস্তুতান্ত্রিক কারণ অনেক রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল :
প্রাকৃতিক দুর্যোগ : ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছরে ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা, ভূমিধস, ভূমিকম্প ইত্যাদি হয়ে থাকে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে।
গুচ্ছ বন্টন : বিস্তৃত পপুলেশনের চেয়ে স্থানে স্থানে গুচ্ছ করে অবস্থিত বিভিন্ন ও ছোট পপুলেশনের বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বহু বেশি। ফ্রিকোয়েন্সি কম হলে প্রজাতির বিলুপ্তির হার বেশি হবে।
দেহ আকার এবং খাদ্যশৃঙ্খল অবস্থান : দেহের আকার যত বড় হবে, তার টিকে থাকার সম্ভাবনা তত কম হবে। প্রাণের ক্ষেত্রে এর উদাহরণ স্পষ্ট। খাদ্যশৃংখলে যার অবস্থান যত উপরে, তার বিলুপ্তির সম্ভাবনা তত বাড়ে। কারণ খাদ্য শৃঙ্খলের নিচের অবস্থানে কোন ক্ষতি বা বিলুপ্তির উপর অবস্থানরত স্তরের জীবদেহের দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পরিবেশীয় চাপ : বাংলাদেশের জীব বৈচিত্রের ধ্বংসের বাস্তুতান্ত্রিক কারণসমূহের অন্য তোমার একটি কারণ হলো পরিবেশীয় চাপ। বাসস্থানে বিভিন্ন পরিবেশ ও নিয়মকের অনির্ধারিত ওঠানামা বা অস্থিরতা ছোট ছোট পপুলেশনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং এ প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়।
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মানব কর্তৃক সৃষ্ট কারণ সমূহ
বর্তমানে মানুষের বিভিন্ন মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের ফলে জীববৈচিত্র্য দ্রুত হারে হ্রাস পাচ্ছে। কারণগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
বাসস্থান ধ্বংস : আমাদের জীবন জীবিকার জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। হিসেব করে দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যেই রেইন ফরেস্টের শতকরা ৪০ ভাগ ধ্বংস করা হয়েছে এবং বাকি অংশ প্রতি মিনিটে ৫০ একর করে ধ্বংস করা হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জলাভূমিগুলো মাটি ভরাট করে জলজ উদ্ভিদের বাসস্থান ধ্বংস করা হচ্ছে। বাসস্থান ধ্বংস জীব বৈচিত্রের বিলুপ্তের একটি প্রধান কারণ বা বাংলাদেশের জীববৈচিত্রের ধ্বংসের কারণ এর মধ্যে অন্যতম একটি।
অতিরিক্ত হাড়ের রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদি প্রয়োগ : রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদির অতিমাত্রায় ব্যবহার বহু জীববৈচিত্রের ক্ষতি করে। কীটনাশক প্রয়োগের ফলে ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গের সাথে সাথে বহু উপকারী কীটপতঙ্গ ধ্বংস হয়ে যায়। কৃষি খামারে প্রকৃত রাসায়নিক সার কীটনাশক ছত্রাকনাশক ইত্যাদি নিকটস্থ জলাশয়ে জমা হয়ে জলজ জীববৈচিত্রের ক্ষতি করে থাকে।
জীব প্রজাতির অধিক সংখ্যার আহরণ : বনজ, মৎস্য ও বন্যপ্রাণী সম্পদ বেশি হারে আহরণের কারণে একদিকে জীববৈচিত্র যেমন কমছে তেমনি অন্যদিকে পর্যাপ্ত জীবের বিলুপ্ত ঘটছে। উদাহরণ স্বরূপ বঙ্গোপসাগরে বেশি ও নির্বাচনে ইলিশ মাছ ও চিংগা হরণের ফলে বর্তমানে এ সাগরের চিংড়ি ও ইলিশ মাছের অকাল দেখা দিয়েছে। এভাবেই বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় সমূহ
বাংলাদেশে অনেক প্রাণী বিলুপ্তির পথে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ আজ বিপন্ন। বিশ্ব বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশের জীববৈচিত্র সংরক্ষণের বেশ কয়েকটি উপায় সমুহ অবলম্বন করা যেতে পারে বা জীববৈচিত্র সংরক্ষণের পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে তার মধ্যে কয়েকটি হলো।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন
ভারতীয় উপমহাদেশের বোটানিক্যাল গার্ডেনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ১৮৭৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতার হুগলি নদীর তীরে সেগুন চাষের লক্ষ্য নিয়ে সর্বপ্রথম এই গার্ডেন প্রতিষ্ঠিত ছিল। এখানে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ আছে।
জাতীয় উদ্যান
ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন ইউনিয়ন অনুযায়ী জাতীয় উদ্যান এমন একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বাস্তুতান্ত্রিক বিশেষ বৃহৎ এলাকা কে বোঝায়। পরিবেশের নান্দনিকতা, বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ করা এবং যেখানে জনগণের আনন্দ, ভ্রমণ, শিক্ষা, বিনোদন ব্যবস্থা আছে। এটিও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় এর মধ্যে একটি।
বনভূমি সংরক্ষণ
বনভূমি বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। বিভিন্নভাবে বনভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে এতে বন্যপ্রাণীর অবাসস্থল হ্রাস পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন বনভূমির সংরক্ষণের মাধ্যমে জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করা যাবে। বর্তমানে পৃথিবীতে অনেক বনভূমি গাছ কেটে বনভূমি উজার করা হচ্ছে, এতে জীববৈচিত্রের ক্ষতি হচ্ছে।
উচ্চ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য অতিরিক্ত খাদ্যের প্রয়োজন হয়। খাদ্যের জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর নির্ভর করতে হয়। সুতরাং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার রোধ করলে পরিবেশ ভালো থাকবে এবং জীব বৈচিত্র্য রক্ষিত হবে। এভাবেই বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় সমূহ প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন রোধ করা
দেশের জনাধিক্যের দরুন কৃষি জমি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। দিন দিন পতিত জমি হ্রাস পাচ্ছে। এতে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। আমার দেশের অনেক স্থানে ধান চাষের জমি জলাশয় রূপান্তর করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও বনভূমি নষ্ট করে বাড়িঘর বা শিল্প কারখানা তৈরি করা হচ্ছে, এগুলো বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র্যের রক্ষা নয় বরং ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় আছে। এর জন্য বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের ঝুঁকি গুলোর প্রতিকার করা প্রয়োজন।
পরিবেশ দূষণ বন্ধ করা
দেশের শিল্প উন্নয়ন ও কৃষির উন্নয়নের ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয় যা অনেক প্রাণীর আবাসস্থল ও বংশবিস্তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সৃষ্টি হয়। সুতরাং জীববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে হবে।
অতিরিক্ত সম্পদ আহরণ বন্ধ করা
অতিরিক্ত খনিজ ও মৎস্য বা প্রাণিজ সম্পদ আহরণের ফলে তা বিলুপ্ত হচ্ছে। যেমন : দেশে এখন সাধু পানির মাছ খুব কম দেখা যায়।
বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি বন্ধ করা
বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে উদ্ভিদের বৈচিত্রের উপর। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় উদ্ভিদ তার বংশবিস্তার করতে পারে কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হয় যা জীববৈচিত্র্য ক্ষতি সাধন হয়।
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। দেশটি ভৌগোলিকভাবে জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ হলেও নানা ধরনের মানবিক ও প্রাকৃতিক কারণের জন্য জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের ঝুঁকিতে রয়েছে ও বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হলে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে।
☞ আরো পড়ুন : মৃত্তিকা বা মাটি কাকে বলে? মাটি গঠন এর নিয়ামক গুলোর বিবরণ
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ, সংরক্ষণের উপায়, এবং জীববৈচিত্র্যের ঝুঁকি ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ, যা বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য সুপরিচিত, নানা ধরনের উদ্ভিদ, প্রাণী ও জলজ জীবের আবাসস্থল। তবে, বনভূমি উজাড়, দূষণ, অতিরিক্ত শিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, ও নগরায়ণের ফলে দেশের জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে জীববৈচিত্র্যের ঝুঁকি চিহ্নিত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক, যা আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করবে।
এসব পদক্ষেপ কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হার কমানো সম্ভব হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য ও বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের ঝুঁকি ও প্রতিকার হবে। বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে তারপর বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় বা পদ্ধতি সমূহ অবলম্বন করতে হবে। এভাবেই বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় খুঁজে পাওয়া যাবে।
☞ আরো পড়ুন : স্বাধীনতা কী? গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বাধীনতার রক্ষাকবচসমূহ আলোচনা কর।
- আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন : Facebook Page
কমেন্টস 1